ভালবাসা ছাড়া জীবন শূন্য,তাই ভালবাসা দিয়ে জয় করতে চাই এই ভুবন।

বৃহস্পতিবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৮

একটু ভালবাসা দিও!!!

ভালবাসি তোমায় প্রিয়া নিজের মতো করে,
ভালবেসে যাব আমি যদিও যাই মরে,
হাসনাহেনার গন্ধ যেমন মন পাগল করে,
তোমার গন্ধ মাখতে তেমন খুব ইচ্ছে করে৷

রাত্রি হলে ঘুমোতে গিয়ে তোমায় ভাবি রোজ,
ছবি দেখে মনকে আমি কি করে দেই বুঝ?
প্রতিদিনিই ইচ্ছে জাগে তোমার স্পর্শ নিতে,
তোমার মাঝে মিশে গিয়ে বিলীন হয়ে যেতে৷

চলে এসো প্রানের প্রিয়া আমার ছোট্ট ঘরে,
সারা জীবন কাটিয়ে দিবো তোমার হাতটি ধরে,
ঝড়ো হাওয়া আসলেও দেবনা হাত ছেড়ে,
ভালবেসে যাবই আমি আমার মতো করে৷

তোমার চোখের জল কখনো দিবো না পরতে,
হাসতে হাসতে পারবো আমি তোমার জন্য মরতে,
শুধু তুমি একটুখানি ভালবাসা দিও,
বিনিময়ে যা চাও তুমি সব নিয়ে নিও৷

মঙ্গলবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৮

দূর থেকে ভালবাসব তোমায়!!!

প্রেয়সী,
আমি তোমার থেকে দূরে চলে যেতে চাই। মুক্তি দিতে চাই তোমায়; এ অস্পষ্ট মায়াজাল থেকে। তুমিও তো তাই চাও। তবে বারবার কেন পিছুডাকো আমায়????
তুমিই তো প্রায়ই বলো- "কোন এক ঘোর প্রদোষে হারিয়ে যাব আমি। হয়তবা চাদ হয়ে জোছনা স্নাত করবো অন্য কারো পৃথিবী। তুমি বোধহয় আপন করে নিতে পারবে না আমায়"....!

কেনো যেন আমারও তাই মনে হয়। আমি ব্যর্থ হব; কেননা আমার প্রতিটি ইচ্ছের মৃত্যু ঘটে অচিরে। বারবার মেনে নিতে হয় চিরচেনা পরাজয়। সত্যি হয়তবা কোন এক কালে প্রয়োজনের তাগিদে হারিয়ে যাবে তুমি। তবে কি লাভ বল- জড়িয়ে মিছে মায়ায়?

তাই এবার এখানেই সম্পর্কের ইতি টানব। তোমার পিছুডাকে সাড়া না দিয়ে নিয়তিকে মেনে নিয়ে দূর থেকে দূরে চলে যাব। অনেক স্বপ্ন দেখেছি, স্মৃতিস্তুপে তোমার অনেক সৃতি ধারন করেছি। আর অহেতুক স্বপ্ন দেখতে চাইনা; চাইনা আর স্মৃতি ধারন করতে। কেননা আমি ক্ষণিকের জন্য তোমায় পাশে চাইনি, পুরু জীবন পাশে চেয়েছিলাম। যদি সেই ইচ্ছে পূর্ণতা না পায় তবে দূর থেকেই না হয় তোমায় ভালবাসব।

-ক্ষমা করে দিও আমায়।

বৃহস্পতিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

তোমারি মাঝে!!!

তুমি দেখেছ কখনো বৃষ্টি,
অঝোর ধারায় ঝরতে?
আমি দেখেছি,
দেখেছি বৃষ্টি অঝোর ধারায় ঝরতে,
তোমার কাজলে আঁকা চোখের পানিতে।

তুমি দেখেছ কখনো আনন্দ,
ফোয়ারার মতো চারদিকে ছড়িয়ে পড়তে
আমি দেখেছি,
দেখেছি আনন্দ ফোয়ারার মতো,
তোমার খিল খিল হাসির ছন্দের মাঝে।

তুমি দেখেছ কখনো আকাশ?
দেখছ আকাশের সীমানা কত বড়?
আমি দেখেছি,
দেখেছি আমি আকাশের সীমানা,
তোমার উদারতার মাঝে।

তুমি দেখেছ কি সমুদ্র?
দেখেছ কি তার গভীরতা কত?
আমি দেখেছি,
দেখেছি আমি সমুদ্রের গভীরতা,
তোমার মনের ঐ গহীনে।

শুনেছ কি কোকিলের গান?
শুনেছ কি তার মিষ্টি মধুর কন্ঠ?
আমি শুনেছি,
শুনেছি আমি কোকিলের গান,
তোমার ঐ মিষ্টি মধুর কন্ঠে।

ছুঁয়েছো কি কখনো মেঘ?
অনুভব করেছ কি তার নরম স্পর্শ?
আমি পেয়েছি,
পেয়েছি আমি নরম স্পর্শ,
তোমার ঐ তুলতুলে দু,গালের ছোঁয়াতে।

শুক্রবার, ৬ জুলাই, ২০১৮

অতৃপ্ত ভালবাসা!

একদিন রাতে আনমনে হাটঁতে হাটঁতে
চাঁদকে দেখলাম, সে যেন অপরূপ সাজে
সজ্জিত,,, আমি তার দিকে তাকালাম আর
হাতছানি দিয়ে তাকে ডাকলাম, সে
হাসল, আমি ভাবলাম সে আসছে~আমি
তার অপেক্ষায় রইলাম কিন্তু সে হারিয়ে
গেল দূর দিগন্তে, আমি শুধু তাকিয়ে
রইলাম????????????

শনিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৮

পাবো না জানি তবু ভালোবাসি

তুমি পাশে নেই,
         তবু তোমায় অনুভব করি,
তুমি আমায় হবে না জানি,
        তবু তোমার পথ চেয়ে আছি,
স্বপ্ন সত্যি হবে না জানি,
       তবু তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখি,
কারন আমি যে তোমায় ভীষণ
              ভালো বাসি।

বাস্তবতাকেই মেনে নিতে হবে

ভালবাসি তোমাই
হুম অনেক বেশিই ভালবাসি।
জানি তার চেয়ে বেশি তুমি আমারে ভালবাসো,আগের মত এখনো।

কিছুই হয়নি আমাদের মাঝে...
আর হবেও না। সারাজীবন ভালবাসবো ঠিক একই ভাবে,তবে দূর থেকে।
কারণ যে হৃদয়ে থাকে সে হয়তো ভাগ্যে থাকে না।ঠিক তেমনি আমাদের ভালবাসাটা।
আমি বেকার, ভবিষ্যত ঠিক নাই,অনিশ্চিত জীবনের সাথে তোমাই কিভাবে জড়াবো??
আর তোমার পক্ষেও সম্ভব না আমার জন্য অপেক্ষা করা,হুম তুমি এখন হয়তো সব কিছু ছেড়ে আমার কাছে চলে আসতে পারবা।কিন্তু জীবনটা বাস্তব,কোনো ছিনেমা না

সোমবার, ২৬ মার্চ, ২০১৮

বৃষ্টির নিমন্ত্রণ!

বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর
বৃষ্টি ভেজার ক্ষণ
আমার শহরে ভিজতে এসো
বৃষ্টির নিমন্ত্রণ।
ঝুম বৃষ্টিতে ভিজবে তুমি
ভিজবে তোমার মন
বৃষ্টির কাছে করবে তুমি
আত্ম সমর্পণ।
চোখের বিষাদ মুছে যাবে
দুঃখ যাবে ধুয়ে
তোমার চোখের পাতা যদি
বৃষ্টি দেয়গো ছুঁয়ে।

বুধবার, ২১ মার্চ, ২০১৮

হারিয়ে ফেলা ভালবাসা!!

গ্রামের একটি স্কুল, প্রায় ১৩০০ এর বেশি ছাত্র-ছাত্রী । আসে-পাশের পাঁচ গ্রাম মিলে এই একটাই প্রাইমারি স্কুল । তাই শিক্ষার্থীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি । স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর একজন মেধাবী এবং ভদ্র ছাত্র কৌশিক । স্কুলের সব সকল শিক্ষক-শিক্ষিকারা কৌশিককে খুব আদর-স্নেহ করন । শৈশবের দুরন্তপনা কৌশিকের সব খানে । নতুন শ্রেণীতে কিছু নতুন মুখ কৌশিক আবিষ্কার করল । চঞ্চলতার মাঝেও কৌশিকের একটি অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য ছিল । সে সহজে কারও সাথে সহজে মিশতে পার না, লজ্জাবোধ করত ।
নতুন শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাফসা অন্যরকম । সে চুপচাপ থাকত । তাকিয়ে শুধু সব দেখত । পড়াশুনা ছাড়া কিছুই বুঝতনা । তাই কৌশিকের হাফসার প্রতি বিশেষ আকর্ষণ তৈরী হয় । কৌশিকের ভয়, যদি এবার হাফসা তার প্লেসটি দখল করে তাহলে স্কুলে তার আদর কমে যাবে । তাছাড়া একটা মেয়ে হয়ে তাকে পিছনে ফেলবে তা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না ।
কৌশিক হাফসার সাথে কথা বলার সুযোগ খুঁজতে থাকে কিন্তু শুধু ভয় হয় তার, যদি হাফসা কিছু মনে করে । একদিন টিফিনের সময় কৌশিক হাফসা কাঁপা স্বরে জিজ্ঞেস করেই ফেলে, “কেমন আছ হাফসা?” হাফসা একটু মুচকি হেসে বলে, “হ্যা ভাল” । হাফসা প্রতুত্তরে কিছুই বলার প্রয়োজন বোধ করল না । ঐদিন তেমন আর কোন কথাই হলো না তাদের । এই দিনের পর থেকে তারা মাঝে মাঝে একজন অন্যজনে দিকে তাকিয়ে ‍থাকত । মনে হতো যেন তারা মুখের ভাষা হারিয়ে ফেলেছে । চোখে চোখেই তাদের কথা হয়েযেত, ঝগড়া হয়েযেত! মাঝে মাঝে অভি মুখ ঙেংচে দিত । অভি খুব শান্ত স্বভাবের মেয়ে । হৈ হুল্লা তেমন পছন্দ করতো না, এসবে যেতো না । খুব সুন্দর ছবি আঁকতে পারত অভি । সে সব সময় খাতার উপরের পৃষ্ঠায় কার্টুন এঁকে রাখত । হাফসার চোখগুলো খুব সুন্দর, চেহারার রং উজ্জ্বল নয় তবে মার্ধুযতা ছিল । দেখলে মনে হতো চেহারায় যাদু আছে। চুলগুলো ছিল কাধ পর্যন্ত । অনেক দূর থেকেও চিনতে কষ্ট হতো না কৌশিকের । অভির বাবা এগ্রামেই একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন। সেই সূত্রে হাফসার এস্কুলে ভর্তি হওয়া ।

এভাবেই পড়াশুনা আর দুষ্টুমিতে দেখতে দেখতে ৫/৬ মাস কেটে গেল । নতুন সব শিক্ষার্থীদের সাথে কৌশিকের ভাল বন্ধুত্ব তৈরী হয়েগেল । নতুন-পুরাতন সব বন্ধুদের সাথে টিফিনের সময় মাঝে মাঝে কৌশিক ঘুরতে বের হতো, খেলাধুলা করতো, বর্ষায় কাগজের নৌকা বানিয়ে পানিতে ভাসাতো, গাছ থেকে কাঁচা আম পেড়ে বন্ধুরা মিলে খায় আরও কত্ত কি করতো ! কিন্তু এসবের মাঝে কৌশিক অভিকে খুব মিস করতো! খুব জেদ হতো অভির প্রতি! কৌশিক জানতো, অভিকে এসব নিয়ে কিছু বললেই সে বলবে, “এসব আমার ভাল লাগেনা”। কৌশিকের কাছে মেয়েটাকে প্রতিবন্ধি টাইপের মনে হতো । তাই সে অভিকে মাঝে মাঝে প্রতিবন্ধি বলে ডাকতো ।
আরও কয়েক মাস পর বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার দিন চলেএসেছে। বার্ষিক পরীক্ষার পর বাড়িতে ১৫ দিন সময় বন্ধুদের ছেড়ে থাকতে কৌশিকের খুব কষ্ট হচ্ছে । বিশেষ করে প্রতিবন্ধি হাফসা-টার জন্য । কিন্তু কিছুই করার নেই, কারণ হাফসাদের বাসা কোথায় কৌশিকের তা জানা নেই । হাফসার বাবা মটরসাইকেল দিয়ে সকালে স্কুলে দিয়ে যেত আবার বিকেলে নিয়ে যেত । তাছাড়া হাফসার বাসা সম্পর্কে জানার প্রয়োজন বোধ করেনি কৌশিক ।
কৌশিক এবারও প্রথম স্থান অধিকার করেছে । তাই মনে খুব আনন্দ । সকল বন্ধু-বান্ধব এবং শিক্ষকদের সাথে সে আনন্দ শেয়ার করল । কৌশিক এবছর পঞ্চম শ্রেণিতে উত্তির্ণ হয়েছে । সে এবছর বৃত্তি পরীক্ষা দিবে । তাই পড়াশুনায় আরও মনোযোগী হতে হবে । ফলাফল ঘোষণার দিন সবাইকে পাওয়া গেলেও হাফসাকে পাওয়া গেলনা । তাই এইদিনে কিযেন অপূর্ণতা থেকে গেল কৌশিকের ।

পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান শুরু হয়েছে । আজ নিশ্চয়  হাফসা আসবে- কৌশিক ভাবছে । কিন্তু না আজও হাফসা আসেনি । এভাবে দিনগুনতে গুনতে সপ্তাহ কেটে গেল হাফসা কোন খোঁজ নেই । হঠাৎ একদিন কৌশিক জানতে পারে অভির বাবা এখান থেকে অন্যত্র বদলি হয়েগেছেন । তাই হাফসাকে ঐখানের একটি স্কুলে ভর্তি করা হয়েছে । শুনে কৌশিক স্থির হয়েগেল । ছোট হৃদয়ে বড় কষ্ট পেল কৌশিক। এক বার বলে যেতে পারত প্রতিবন্ধিটা! আসলেই একটা প্রতিবন্ধি! তারপরও দিন-রাত মনে মনে কৌশিক ভাবত- “কেমন আছে প্রতিবন্ধিটা? সে এখন কি করছে? সে কি ভাল আছে?” ইত্যাদি ইত্যাদি ।
ক্লাসের ফাঁকে মাঝে মাঝে সে কোথায় যেন হারিয়ে যায়। হাফসা যে বেঞ্ছে বসত সেখানে তাকিয়ে থাকতো, অভির মুখ ভেংচানো দৃশ্যটা মনে পড়তো খুব । অভির স্মৃতিগুলো চার দিকে ভেসে বেড়াত । কৌশিকের ছোট্ট জীবনে আজ বিশাল শূন্যতা বিরাজ করছে । কাউকে সে বোঝাতে পারছে না । হঠাৎ এমন কোন ঘটনা তার জীবনে ঘটবে তা কৌশিক ভাবতেই পারেনি ।
আজ অনেক পছর পর ট্রেনে বসে কৌশিক এসব স্মৃতিগুলো রোমন্থন করছিল । ঢাকা থেকে সে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছে । তার শহরে একটা ভাল চাকুরি হয়েছে । মনটা একটু আগেও ভাল ছিল । কিন্তু বিমান বন্দর রেলস্টেশনে একটি ঘটনা তাকে শৈশবে ফিরিয়ে নিয়েগেল ।
কৌশিক তার কাগজপত্রগুলো দিখছিল আর ভাবছিল খুশির খবরটা সে নিজের মুখে তার বাবা-মাকে জানাবে। বিকাল ৫টায় মহানগর গোধুলিতে করে কৌশিকের বাড়ি যাওয়ার কথা। তার পাশে ছোট্ট সুন্দর ৫-৬ বছরের একটি মেযে শিশু বসা ছিল । হঠাৎ বাচ্চাটির দিকে চোখ পড়তেই বাচ্চাটিতে খুব চেনা মনে হলো কৌশিকের । পরিচিত চোখ-মুখ কোথায় যেন সে দেখেছে কিন্তু মনে পড়ছে না ! পাশের মহিলাটিই সম্ভবত বাচ্চাটির মা । কাল বোরকা পরা এবং অন্যদিকে তাকিয়ে আছে তাই কিছূই বোঝা যাচ্ছে না । পাশেই নীল রংয়ের একটি ট্রাভেল ব্যাগ । ব্যাগের ওপর কার্টুনের ছবি ।
পাশে ফিরতেই চোখে চোখ পড়ল। অপলক দৃষ্টিতে কৌশিক চোখগুলোর দিকে তাকিয়ে আছে । সে ধাঁধায় পড়ে গেল! মনে মনে ভাবছে কে সে? আবার নিজেই বলছে যদি পরিচিত হয় তাহলে তো আমাকেও চিনবে, কথা বলবে! কিন্তু কিছুই বলা হয়ে উঠল না ।
একটুপর একজন লোক এসে মহিলাটির উদ্দেশ্যে বলল, “চলো হাফসা, সামনের দিকে যাই, এখনই আমাদের ট্রেন চলে আসবে”
কথাটা শুনা মাত্রই কৌশিক বসা থেকে আস্তে আস্তে দাঁড়িয়ে যায় । এখন আর কিছুই বুঝতে বাকি রইলনা কৌশিকের । এই সেই হাফসা! এত্তগুলো বছর পর! এটা হাফসা মেয়ে! আর লোকটা হাফসার স্বামী । চোখগুলো মায়ের মতোই পেয়েছে । এসব ভাবতে ভাবতে কৌশিকের মুখ দিয়ে আর কোন কথাই বের হচ্ছে না । কৌশিক কি করবে, কি বলবে কিছুই বুঝতে পারছে না ।
হাফসা বাচ্চাকে নিয়ে প্লট ফর্মে হাটতে থাকল, সাথে স্বামী নীল রংয়ের ব্যাগটা নিয়ে । বাচ্চাটি কাধে মাথা রেখে কৌশিকের দিকে চোখ ‍নিয়ে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল আর কৌশিক তখনও অসহায় ভাবে একই স্থানে দাড়িয়ে । অল্পক্ষণের মধ্যেই হাফসারা লোকজনের ভীড়ে দৃষ্টিসীমার বাহিরে চলেগেল । সেই শান্ত প্রতিবন্ধি হাফসা-টা একবার ফিরেও তাকাল না!

শুক্রবার, ১৬ মার্চ, ২০১৮

এই তো ভালোবাসা

২ লক্ষ টাকার বাইক দিয়ে গার্লফ্রেন্ড কে ড্রপ করে আসার মাঝে ভালবাসা নেই..
.
২০ টাকা দিয়ে রিকসায় তুলে দিয়ে, রিকসা ওয়ালা পরিচিত হলেও বার বার বলে দেওয়া, মামা একটু সাবধানে চালায়েন, আস্তে আস্তে চালায়েন, ঐ খানে নামায়া দিয়েন, এবং তুলে দিয়েও বার বার পিছনে তাকানোর নাম ই ভালবাসা 💜
.
৫০০ টাকা দিয়ে রেস্টুরেন্টে খাওয়ানোর নাম ই ভালবাসা না..।
রাস্তায় বসে ৫ টাকার বাদাম কিনে, খোসা ছাড়িয়ে ভালবাসার মানুষটির এর মুখে তুলে দেওয়াই ভালবাসা 💜
.
ঐ জামাটা পরবা, ঐ জামা তোমাকে সুন্দর লাগে..! এটার মাঝে একটু ও ভালবাসা নেই..
ঐ জামাটা পরবা না ঐটায় বেশি সুন্দর লাগে ' ছেলেরা তাকিয়ে থাকে..। আমি চাইনা কোন ছেলের চোখ তোমার উপর পরুক। এটার মাঝেই আছে ভালবাসা 💜
.
১০০টাকা, ৫০ টাকা ফোন লোড করে দেওয়ার মাঝেই ভালবাসা না..।📱
ফোনে ব্যালেন্স নেই জেনেও বার বার ফোন দেওয়ার বৃথা চেষ্টার নাম ই ভালবাসা.. 💜
.
জন্মদিনে বড় একটা বারবি ডল গিফট করার নাম ই ভালবাসা না..। জন্মদিনে গিফট দিতে না পেরে চোখের জল ফেলে সরি বলার নাম ই ভালবাসা..😰? 💜
.
আসলে ভালবাসা অসধারণ হলেও এটা খুব সাধারণ কিছুর মাঝেই লুকিয়ে থাকে..।😊
হয়তো মনের ভেতর একটা আক্ষেপ থেকে যায়, ওকে কিছু দিতে পারলাম না, ওর এই সখটা মিটাতে পারলাম না..।
হয়তো প্রিয় মানুষটা কিছু বলে না কিন্তু নিজের মাঝে একটা ব্যার্থতার হাহাকার ফুটে ওঠে..।
.
আসলে শুধু দেওয়ার মাঝেই ভালবাসা না আপনার গার্লফ্রেন্ড কে শুধু বলুন" " তুমিই তো আমার সব 😍
তুমি ই আমার এক পাশের এক চাদ, এক বাগানের একটা ফুল, তোমাকে দিবো না তো কাকে দিব"" দেখবেন সে না পেয়েও, পাওয়ার চেয়েও বেশি খুশি হবে 💜

রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

খুব মিস করি তোমায়!!!

হঠাৎ করে কোথায় হারিয়ে গেলে তুমি
কোথাও তোমার ছায়া পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছিনা
আকাশে তারা হয়ে গেছো বলে তারার মাঝে দেখতে চেয়েছি
শূন্যে মলয়ের সাথে হয়তো মিতালী করেছো বলে
অনুভবে কাছে পেতে চেয়েছি তোমাকে
কিন্তু বৃথা সব অন্ধকারের ছায়ার মত
কেন?
কল নেই হায় হ্যালো নেই
ফেইসবুক ব্লক গোগল টুইটার কোনটাতেই নেই
এত অভিমান কেন? আমার কি কোন ভুল ছিল?
বললেনা তো কি ভুল আমার? বললে হয়তো শুধরে নিতাম
তোমার মনের মত করে একান্ত তোমার ভালবাসা দিয়ে
কিন্তু কেন এত অভিমান?
আমি যে তোমাকে মিস করি তুমি কি জানো?
তোমাকে হৃদয়ের গভীরে অনুভব করি
সমুদ্রের ঢেউয়ের মত তোমার জন্য উত্তাল হই
তৃষার্ত কাকের মত ছটফট করি এক বিন্দু ভালবাসার সুধারসের জন্য
তুমি কি জানো?
অনেক অনেক মিস করি তোমাকে -যা লিখে বা বলে প্রকাশ করা অসম্ভভ
আমার জন্য ।
তবুও বলি -আমি তোমাকে খুব মিস করি ।।

শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৮

সুখে থেকো তুমি বান্ধবী!!!

ভালোবাসা শব্দটাই অদ্ভুত ..এর চাইতে বেশী অদ্ভুত ভালোবাসার মানুষ... যেমন তুমি .. যদি কষ্টই দেবে তবে সেদিন ভালোবাসার স্বপ্ন কেন দেখালে..তবু ও জানতে ইচ্ছে করে কেমন আছো তুমি আমাকে ছাড়া .. নিশ্চয়ই ভালোই আছ .. হয়তো এখন আর মনেই পড়ে না আমাকে .... আজ!!!
বুঝাতে পারবো না কি পেয়েছি তোমায় ভালবেসে ....

তবু ও চাই সারাজীবন তুমি ভালো আর সুখে থেকো ,,,,

আমার ভালোবাসা সব সময় তোমার পাশে থাকবে !
একজন মানুষ কে ভুলে যাওয়া কি এতটা সোজা ?? সত্যি করে বলতো , আমাকে ভুলে থাকতে পারবে তুমি ?? যখন খুব মন খারাপ হবে তোমার , তখন কি মনে পরবেনা আমার কথা ?? হয়তো পরবেনা কারণ তোমার মনের মতো একজন কে খুজে নেবে তো তাই ..
তোমার কতটা আপন ছিলাম আজ তুমি ভুলে গেছ ,,কিন্তু আমি তো ভুলতে পারবনা তাই তোমার দেয়া কষ্টগুলো স্বযতনে বুকে ধরে রাখব. ..

তবু ও তুমি ভালো আর সুখে থেকো !!!

ভালবাসার মানুষটা কে কি পরিবর্তন করা যায়.. পারবে তুমি অন্য কাউকে আমার মত করে ভালবাসতে ….সেই আগের মত করে ভালবাসতে ..আমি তো পারব না কোনদিনই অন্য কাউকে এতটা ভালবাসতে.. চাই না আমি তোমাকে ছাড়া অন্য কাউকে ভালবাসতে ... তুমি আবার ফিরে আসবে আমার কাছে !!!!
তবু ও বলবো তুমি ভালো থেকো সব সময় ...
ভালোই তো ছিলাম আমি.. সুখ আনন্দেই তো কাটছিল আমার দিন গুলো .ক্ষনিকের জন্য কেন এলে আমার জীবনে …..!! কেন নষ্ট করলে আমার সুখ আর আনন্দটা কে !! কি অন্যায় ছিলো আমার... যদি কোন অন্যায় করেই থাকি তবে সেটা তোমায় ভালোবেসে ছিলাম...
আজ অনেকদিন হয়েছে তুমি আমার পাশে নেই।!! পুরানো সেই দিনের কথা মনে পরে তোমার ?? হয়তো পরে না !! জানিনা কতটা মনে পড়ে আমাকে তোমার কিন্তু আমার মনে পড়ে প্রতিমূহুর্তে …..

আজ আমার কষ্ট… শুধু কষ্ট….
যারা ভালবাসাকে শ্রদ্ধা করে তারা কখনো সত্যিকারের ভালোবাসা পায়না!!!আর যারা মনে করে ভালোবাসা হচ্ছে টাইম পাস তারা সত্যিকারের ভালোবাসা পায়, কিন্তু তারা সেটা শ্রদ্ধা করেনা!!!আজব হলেও সত্য !!!!!!!!!

তোমাকেই চাই!!

আমি এখন অন্য মানুষ ভিন্ন ভাবে কথা বলি
কথার ভেতর অকথিত অনেক কথা জড়িয়ে ফেলি
এবং চলি পথ বেপথে যখন তখন।

আমি এখন ভিন্ন মানুষ অন্যভাবে কথা বলি
কথার ভেতর অনেক কথা লুকিয়ে ফেলি,
কথার সাথে আমার এখন তুমুল খেলা
উপযুক্ত সংযোজনে জীর্ণ-শীর্ণ শব্দমালা
ব্যঞ্জনা পায় আমার হাতে অবলীলায়,
ঠিক জানি না পারস্পরিক খেলাধূলায়
কখন কে যে কাকে খেলায়।

অপুষ্টিতে নষ্ট প্রাচীন প্রেমের কথা যত্রতত্র কীর্তন আমার
মাঝে মধ্যে প্রণয় বিহীন সভ্যতাকে কচি প্রেমের পত্র লিখি
যেমন লেখে বয়ঃসন্ধি-কালের মানুষ নিশীথ জেগে।

আমি এখন অন্য মানুষ ভিন্নভাবে চোখ তুলে চাই
খুব আলাদা ভাবে তাকাই
জন্মাবধি জলের যুগল কলস দেখাই,
ভেতরে এক তৃতীয় চোখ রঞ্জনালোয় কর্মরত
সব কিছু সে সঠিকভাবে সবটা দেখে এবং দারুণ প্রণয় কাতর।

আমি এখন আমার ভেতর অন্য মানুষ গঠন করে সংগঠিত,
বীর্যবান এক ভিন্ন গোলাপ এখন কসম খুব প্রয়োজন।

তোমাকেই চাই
- হেলাল হাফিজ

রবিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৮

আগের ভালোবাসা নাই।

আজকাল অনেক ছেলে মেয়েদের মাঝে ভালোবাসা মানে সেক্স!!

২/৩ মাসের সর্ম্পকের পরই নাকি এটা প্রয়োজন হয়ে দাড়ায়!! কিছু মাস বা ১/২ বছর পর এমন এক পরিস্থিতি দাড়ায়,, এক জিনিস কয়দিন ভালো লাগে??? নতুন স্বাদের আশায় ভিন্ন মানুষ!!
.
কিন্তু এটা চরম সত্য যে,, ৯৮% ছেলেই কোন স্বার্থ ছাড়া শারীরিক সর্ম্পকের পর কোন মেয়েকে তার ঘরের বউ হিসেবে মেনে নিতে চায়না !! ( আমি একজন ছেলে হয়েও সত্যি টা আজ উপস্থাপন করলাম।)
.
#মেয়েদের_বলছিঃ আধুনিক যুগে মন দিয়েছো বুঝলাম,, একবার ভেবে দেখো তোমাকে বিয়ে করতে একটা ছেলের চাকরি জোগাড়, পরিবারকে রাজি করানো, মোহরানা, বিয়ের খরচ ইত্যাদি কত ঝামেলা আর টাকার ব্যাপার,, এর পর সে তোমাকে পাবে,

এখন তুমি যদি তার আগেই তাকে সব দিয়ে দাও আর এত ঝামেলা করতে কি তার মন চাইবে??? বিয়ে না করে ২টা মিষ্টি কথায় সব হলে পাগলেও বিয়ে করবে না তোমাকে!!
↓↓
★ বোন গো,, নিজেকে সস্তা করো না!! বোন,, তুমি নিজেও জানোনা যে, তুমি তোমার মা-বাবার কত দামী আর কত কষ্টের অর্জিত মূল্যবান সম্পদ!!
!!
!!
#ছেলেদের_বলছিঃ যে মেয়েটার ক্ষতি করছো,, করো!! একবার ভাবো, তোমার আদরের লক্ষি বোনটাকে যে কিনা আজ আবদার ধরেছে ভাইয়া আমার জন্য চটপটি আনিস,, আর তুমিও তাকে অনেক ভালোবাস!!

অনেক কষ্ট করে খুজে একটি ভাল পাত্র জোগার করলে তাকে সুখি দেখতে চাও!! এখন সে এসে বললো ভাইয়া নেটে আমার ভিডিও আসছে!!
★ও ভাই,, কেমন লাগবে তোমার ভিতরটায়???
(( তাই বলি,আসো সময় থাকতে সাবধান হই!!আসো আমরা একটু ভাবি!
আসো আমরাই শুরু করি,,
একদিন সমাজটাই পাল্টে যাবে!!))

বুধবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১৮

প্রেমে পড়লে কি হয়।

প্রেম। সে তো বিশ্বময় ছড়িয়ে আছে। পৃথিবীতে খুব কম মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে যাদের জীবনে প্রেম আসেনি।আর এ কারণে জীবনে একবারের মতো হলেও প্রেমে পড়েনি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া আসলেই মুশকিল। প্রেমে পড়ার অসাধারণ এই অনুভূতিটা সব মানুষই পেতে চায়।

ফলে প্রেমে পড়লে জীবনে নানা ধরনের পরিবর্তন আসে। এমনকি দেহেও আসে নানান পরিবর্তন।চলুন জেনে নেই প্রেমে পড়লে শরীরে ঠিক কি কি পরিবর্তন ঘটে?

প্রেমে পড়লে মানুষের ‘ঘুম কম হয়’
এই তথ্য একটি সমীক্ষায় পাওয়া গিয়েছে যে, প্রেমে পড়লে অন্তত পক্ষে ১ ঘণ্টা রাতের ঘুম কমে যায়। জার্নাল অফ অ্যাডোলেসেন্ট হেলথে প্রকাশিত হয়েছিল গবেষণাটি। গবেষণাটিতে এর কারণ হিসেবে বলা হয়, রাতে ঘুমাতে গেলেই মনে মধ্যে লুকিয়ে থাকা প্রিয় মানুষটির কথা সবচাইতে বেশি মনে পড়তে থাকে এবং শারীরিক ও মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়। ফলে ঘুমানোর জন্য প্রস্তুত হতে পারে না শরীর। যার কারণে ঘুমাতে দেরি হয়ে যায়।

প্রেমে পড়লে মানুষ ‘ভুলোমনা’ হয়ে যায়
মানুষ প্রেমে পড়লে সে সব কিছু ভুলে যাওয়া শুরু করে৷ এজন্য দায়ী অবশ্য অক্সিটসিন হরমোন। প্রেমে পড়লে মস্তিষ্কে প্রচুর পরিমাণে অক্সিটসিন হরমোন উৎপন্ন হয়, যা স্মৃতিশক্তি কিছুটা কমিয়ে দিতে পারে। আর তাই প্রেমে পড়লে মানুষ কিছুটা ভুলোমনা ও অন্যমনষ্ক হয়ে যায়।

প্রেমে পড়লে মানুয়ের খাবারের ‘স্বাদ বেশি লাগে’
মজার বিষয় হলো প্রেমে পড়লে নাকি বলে খাবারের স্বাদও বেশি লাগে। আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের একটি গবেষণায় এমন তথ্য দেয়া হয়েছে। ওই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, যারা নাকি নতুন প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন তাদের কাছে সব খাবারের স্বাদই অন্যদের তুলনায় একটু বেশিই লাগছে।

প্রেমে পড়লে মানুয়ের ‘মস্তিষ্কের কার্যকলাপ পরিবর্তিত হয়ে যায়’
প্রেমে পড়ার বিষয়টি নাকি মস্তিষ্কের ১২টি স্থানে গিয়ে আঘাত করে। এ কারণে প্রেমে পড়ার সাথে সাথে মস্তিষ্কের কার্যকলাপ পরিবর্তিত হয়ে যাবে। প্রেমে পড়লে মস্তিষ্ক সব সময়ে যেভাবে চিন্তা করেছে, সেভাবে চিন্তা করতে পারবে না। প্রেমে পড়ার পরে অনেক বিষয়ই আবেগ দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হবে তখন।

প্রেমে পড়লে ‘শরীরের নানান ব্যথা কমে যায়’
প্রেমে পড়লে মানুষের শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যাথা সেরে যায়। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অফ মেডিসিনের একটি গবেষণায় এ তথ্য বলা হয়েছে। সেখানে আরো বলা হয়েছে যে, ভালোবাসা মস্তিষ্কের নিউরাল রিসেপটরের কার্যকারিতা বাড়িয়ে ব্যাথার অনুভূতি কমিয়ে দেয়। বিজ্ঞানীরা তাই ভালোবাসাকে ব্যথার ওষুধ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

প্রেমে পড়লে ‘হৃৎপিণ্ডের গতি পরিবর্তিত হয়ে যায়’
প্রেমে পড়লে নাকি শরীরে হরমোনের পরিবর্তন ঘটে। আর হরমোনের এই পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে রক্তচাপও কমে যায়। সেই সঙ্গে কমে যায় হৃৎপিন্ডের গতিও। বিশেষ করে ভালোবাসার প্রিয় মানুষটির আশেপাশে থাকলে এই পরিবর্তনটা বেশি ঘটে থাকে।-তথ্যসূত্র: বিডি২৪লাইভ