তুমি আন্তহীন, তুমি অনন্যা।
তুমি ফুলটুসি, তুমি তিলোত্তমা।
আমি তোমার সৌন্দর্য ঈস্পু।
তুমি প্রিয়ংবদা, আমি মুগ্ধ শ্রোতা।
তুমি ইন্দ্রিবর, আমি উল্লুক।
তুমি আরাধ্য, আমি তপস্বী।
তুমি ত্রিনয়না, আমি নয়ন হারা।
তুমি শীতষ্ণ, আমি শীতার্ত।
তুমি ডুবুরী, আমি ডুবন্ত।
তুমি ফুটন্ত গোলাপ, আমি ফুলদানি।
তুমি বীণা, আমি ঝংকার।
তুমি বুনো হংসী, আমি দিঘীর জল।
তুমি দূর পথের পথিক,
আমি তোমার মাথার ছাতা মেঘ।
তুমি পুজারী, আমি অর্ঘ্য।
বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৭
তুমি ছাড়া কিছু বুঝি না।
তোমাকেই চাই!!
আমি এখন অন্য মানুষ ভিন্ন ভাবে কথা বলি
কথার ভেতর অকথিত অনেক কথা জড়িয়ে ফেলি
এবং চলি পথ বেপথে যখন তখন।
আমি এখন ভিন্ন মানুষ অন্যভাবে কথা বলি
কথার ভেতর অনেক কথা লুকিয়ে ফেলি,
কথার সাথে আমার এখন তুমুল খেলা
উপযুক্ত সংযোজনে জীর্ণ-শীর্ণ শব্দমালা
ব্যঞ্জনা পায় আমার হাতে অবলীলায়,
ঠিক জানি না পারস্পরিক খেলাধূলায়
কখন কে যে কাকে খেলায়।
অপুষ্টিতে নষ্ট প্রাচীন প্রেমের কথা যত্রতত্র কীর্তন আমার
মাঝে মধ্যে প্রণয় বিহীন সভ্যতাকে কচি প্রেমের পত্র লিখি
যেমন লেখে বয়ঃসন্ধি-কালের মানুষ নিশীথ জেগে।
আমি এখন অন্য মানুষ ভিন্নভাবে চোখ তুলে চাই
খুব আলাদা ভাবে তাকাই
জন্মাবধি জলের যুগল কলস দেখাই,
ভেতরে এক তৃতীয় চোখ রঞ্জনালোয় কর্মরত
সব কিছু সে সঠিকভাবে সবটা দেখে এবং দারুণ প্রণয় কাতর।
আমি এখন আমার ভেতর অন্য মানুষ গঠন করে সংগঠিত,
বীর্যবান এক ভিন্ন গোলাপ এখন কসম খুব প্রয়োজন।
তোমাকেই চাই
- হেলাল হাফিজ
তোমাকেই চাই!!
আমি এখন অন্য মানুষ ভিন্ন ভাবে কথা বলি
কথার ভেতর অকথিত অনেক কথা জড়িয়ে ফেলি
এবং চলি পথ বেপথে যখন তখন।
আমি এখন ভিন্ন মানুষ অন্যভাবে কথা বলি
কথার ভেতর অনেক কথা লুকিয়ে ফেলি,
কথার সাথে আমার এখন তুমুল খেলা
উপযুক্ত সংযোজনে জীর্ণ-শীর্ণ শব্দমালা
ব্যঞ্জনা পায় আমার হাতে অবলীলায়,
ঠিক জানি না পারস্পরিক খেলাধূলায়
কখন কে যে কাকে খেলায়।
অপুষ্টিতে নষ্ট প্রাচীন প্রেমের কথা যত্রতত্র কীর্তন আমার
মাঝে মধ্যে প্রণয় বিহীন সভ্যতাকে কচি প্রেমের পত্র লিখি
যেমন লেখে বয়ঃসন্ধি-কালের মানুষ নিশীথ জেগে।
আমি এখন অন্য মানুষ ভিন্নভাবে চোখ তুলে চাই
খুব আলাদা ভাবে তাকাই
জন্মাবধি জলের যুগল কলস দেখাই,
ভেতরে এক তৃতীয় চোখ রঞ্জনালোয় কর্মরত
সব কিছু সে সঠিকভাবে সবটা দেখে এবং দারুণ প্রণয় কাতর।
আমি এখন আমার ভেতর অন্য মানুষ গঠন করে সংগঠিত,
বীর্যবান এক ভিন্ন গোলাপ এখন কসম খুব প্রয়োজন।
তোমাকেই চাই
- হেলাল হাফিজ
সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৭
দুঃখে কাটে রজনী!!
দুঃখের কিছু রাত বুঝি এমনি হয় !
কুল কাঠের শিখা দপ দপ করে
ছোপ ছোপ নীল বর্ণ রেখে যায় !
কপোল বেয়ে নিরব অশ্রু ক্ষতে জ্বালা দিয়ে
বিভীষিকাময় করে,বিষণ্ণ করে-
অজানা কালো মেঘ জীবন আকাশ জুড়ে
কালবৈশাখীর আভাস ছড়িয়ে রাখে।
সান্ত্বনার বানী শান্ত হয়ে পরে রয়
অবলা,ঢিমা সেজে শুধু ফ্যালফ্যাল করে
করুন চাহনি স্থির করে রাখে।
বড় সে যন্ত্রণা,অহর্নিশ যাচ্ছি বয়ে।
জানি কেউ আসবে না,শুনবে না-
কান পেতে
শুধু রাতের আধার নীরব সাক্ষী হয়ে
লিখে রাখবে পরতে পরতে।
আর আমি ? কুল কাঠে পিড়ি পেতে
রইবোই বসে উপায়হীন ।
এই বুঝি অমানিশা কেটে ভোর হল !
মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭
অব্যক্ত কিছু কথা!!
অব্যক্ত কথা, যা কিনা বলা যায় না
পড়ে রয় মন মস্তিস্কের এক কোণে
ঠিক ফুলদানিতে জমানো
একগুচ্ছ পুস্পের মত।
মনটাই বা কি চায় আমার কাছে
না কিছু লুকোয়, চায় কি কিছু পেতে,
নাকি পেয়ে হারাতে !! এত সব প্রশ্ন
তবুও ভাসা- ভাসা, মেঘের মত-
নয়তো বা মেঘের আড়ালে হারিয়ে
যাওয়া চন্দ্র- সূর্য নক্ষত্রের মত
ক্ষণিক আছে, ক্ষণিক নেই।
মনের কোণে জমা হয়
শত কথার ফুলঝুড়ি, জানালার ফাঁক দিয়ে
সূর্যের মত প্রকাশ করি, মেলে ধরি
সব কথা, আপনার স্কন্ধ রাহু মুক্ত করি
অস্পর্শ হাত দিয়ে কে যেন চেপে ধরে কন্ঠ
সেকি নিজের প’রে নিজের দূর্বলতা।
হয়তো অনেক কথা অপ্রকাশিত থাকবে
হয়তো বা হবে, মন মন্দিরই জানে
সে মন্দিরে তুমি কে ? তুমি সেই;
যাকে পেলেও আমার, হারালেও আমার
তুমি আমার সেই, সকলের চেয়ে ভিন্ন।
অব্যক্ত মন কিছু বলতে চায়, অন্তিম কালের
পথ ধরে…বলি- বলি করেও যা হয়নি বলা-
যা ছিল কুয়াশাচ্ছন্ন। আজ যা রৌদ্রদীপ্তলোকে
উদ্ভাসিত, দিবালোকে সত্য, সাঁঝ অন্ধকারেও।
ক্ষণিকের হলেও সেটা আমার মহাকাল
মহাকাল জুড়ে আছ শুধু তুমি
আর তোমার পদচারণা।
রবিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৭
হারিয়ে গেছ তুমি!!!!
কাউকে কাছে পেয়ে হারানোর কষ্ট
কতটুকু তা শুধু সেই মানুষ গুলোই জানে ..
যার জীবন থেকে এমন কেউ হারিয়ে গেছে ..
আমি সেই কস্তটাকে খুব কাছে থেকে দেখেছি ..
কিন্তু তুমি জানো আমি সেই কষ্টকে ভুলে যাই
হ্যাঁ তোমার চলে যাওয়ার কষ্টটাকে,
আমি ভুলে যাই ..
যখন আমার মনে পরে যায়
তোমার মিথ্য ভালোবাসার অভিনয়ের কথাগুলো..
সত্যিই বলছি নিজেকে বোঝানোর মত
একটি কথা আমার থাকে না ..
আমি যেন ভাষা হারিয়ে ফেলি
কিছুটা সময়ের জন্য ..
শুধু জানতে ইচ্ছা জাগে কি পেয়েছ ?
জানতে ইচ্ছা জাগে এই মন ভাঙ্গার খেলাতে
কি পাওয়া যায় ?
আমি চাইনা কেউ তোমাকে,
মিথ্যা অভিনয়ে কষ্ট দেক ..
কারণ, আমি এই কষ্ট গুলোকে,
কাছে থেকে দেখছি ..
এর তীব্রতা যে কতটা ভয়ঙ্কর
তা এখনওতুমি জানো না ..
তাই চাই না কেউ তোমাকে
এমন একটা যন্ত্রণা দিয়ে যাক ..
তবে তোমার জন্য একটা অনুরোধ,
কাউকে অভিনয় করে নয়
মন থেকে একবার ভালোবেসে দেখ ..
হয়তো বুঝবে ভালোবাসা কাউকে ঠকানো নয়,
কাউকে মিথ্যা আশ্বাস দেয়া নয়,
ভালোবাসা কাউকে কিছু উজাড় করে দেয়া ..
ভালোবাসা কারো মনকে স্পর্শ করে যাওয়া ...
শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৭
কাছে নেই কেউ!!
কাছে নেই কেউ-হৃদয় গভীরে শুধু বিরহ
বেদনার তীব্র জ্বালা-আনন্দের বেগবতী
স্রোত বহে না পদ্মা মেঘনা যমুনা।
উচ্ছ্বাস নেই জীবন ধারায়-শুধু হাহাকার
ধূসর দিগন্তে মরুভূমি মরীচিকার বাহার।
এমনিতেই কাটে না সময়, দুর্বিসহ বেদনার
ক্লান্ত প্রহর, দিতে পারে না স্বর্গের সুবাতাস
স্বজনের ভালবাসার বড় অভাব। নিকট সান্নিধ্যের
উষ্ণতায় লোনা জলে কাটি না সাঁতার।
মমতার বাঁধনে শক্ত গিটের অভাব-
ভালবাসার আহবানে নেই কোন সুরেলা আওয়াজ মধুময় ছন্দের গাঁথুনীতে প্রেমের দ্যোতনায় আসেনা মহত্বের মহিমা-সিক্ত করে না হৃদয়ের ব্যথাভরা দুঃখ যন্ত্রণার বিস্তৃর্ণ প্রান্তর।
স্বজনের উপস্থিতি সর্বদায় বিরল।
বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৭
কুয়াশা ভেজা সকাল
টিপ টিপ কুয়াশা সারা সকাল পড়ছে.।
হিম হিম শীতে শরীর টা কাপছে.।।
রিমঝিম মনটা উদাস কেন হয়েছে ।
কুয়াশা ভেজা এ মনটা তোমাকে খুব
মিস করছে!!
বলেছে....
ভাল থেকো তুমি!!!
মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৭
#গল্পটি মনযোগ দিয়ে পড়ে আপনার মতামত জানান?
মেয়ে:-আমাকে ভুলে যাও।
ছেলে:-কেন?
মেয়ে:-কারন আমি তোমাকে ভালোবাসতে পারব না।
ছেলে:-তাহলে এই দুইবছর কেন আমার সাথে কাটিয়েছো???
মেয়ে:-আমি দুই বছর ভুলে যেতে চাই।
ছেলে:-আমার দোষ কি যে আমাকে ছেড়ে চলে যাবে........???
মেয়ে:-তোমার কোন দোষ নেই।
ছেলে:-তাহলে.?
মেয়ে:- তাহলে কিছুই না , তুমি আমাকে ভুলে যাও।
ছেলে:-আমি কি দেখতে খারাপ..?এই জন্য ছেড়ে চলে যাবে??
মেয়ে:-তা না।
ছেলে:-তাহলে কেন ছেড়ে যাবে?
মেয়ে:-কারন বলতে পারব না।তুমি আমাকে প্লিস ভুলে যাও।
ছেলে:-আমিত তোমাকে ভুলে যাবার জন্য ভালবাসিনি।আমি তোমাকে জীবন সাথী করার জন্য ভালবেসেছি।
মেয়ে:-কিন্তু আমি তোমার জীবন সাথী হতে পারবো না।ভুলে যাও আমাকে।
ছেলেটা মেয়েটার হাতটা কাছে টেনে নিয়ে।
ছেলে:-কেন? আমার দোষটা বল।
মেয়েটা তার হাতটা হেচকা টান দিয়ে
মেয়ে:-কারন তোমার চাকরি নেই।
ছেলেটা পকেটে থেকে চাকরির এপয়েন্টমেন্ট লেটার বের করে মেয়ের হাতে দিয়ে
ছেলে:-দেখ গতকাল আমার চাকরি হয়েছে।ত্রিশ হাজার টাকা বেতন।
মেয়ে:-তবুও আমি তোমাকে ভালবাসতে পারব না।
ছেলে:কিন্তু কেন?
মেয়ে:-কারন তুমি বিয়ের পর আমাকে নিয়ে তোমার মা বাবার সাথে থাকবে কিন্তু আমি এটা সহ্য করতে পারব না।কারন তোমার মা বাবা সারাদিন খুক খুক করে কাশে এটা আমার ভাল লাগে না।
ছেলে:-অফিস থেকে আমাকে
একটা ফ্লাট দেয়া হয়েছে সাথে একটা গাড়ি।
মেয়ে:-সত্যি।আমি তোমাকে ভালবাসি।
ছেলে:-কিন্তু আমি তোমাকে ভালবাসি না।
মেয়ে:-একটু আগে না বললে ভালোবাসি।এখন আবার এ কথা বলছ কেন?
ছেলে:-একটু আগে আসল কারনটা
জানতাম না।
মেয়ে:-প্লিস এমন করনা।আমাদের দুইবছরের সম্পর্ক এভাবে নষ্ট কর না।
ছেলে:-আসলে তুমি আমাকে
ভালোবাসতে পারনি।তুমি ভালোবেসেছ টাকাকে।আর যে নারী বিয়ের পর তার শ্বশুর-শাশুড়িকে নিজের পিতামাতার মতই আপন করে নেয় না তাকে আমার প্রয়োজন নেই।
ছেলেটা এটা বলে মেয়ের হাত থেকে চাকরির এপয়েন্টমেন্ট লেটারটা নিয়ে দুই বছরের সম্পর্ক নষ্ট করে
চলে গেল।😆😭
ছেলেটা কি ভুল সিদ্ধান্ত নিল????????
শনিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৭
দৃষ্টি শক্তি বদলান, সমাজ বদলে যাবে।
জি, আমরা দুই বোন। না, আমাদের বা আমাদের বাবামায়ের ছেলেসন্তানের অভাব বোধ হয় না।
আমি আমার বাবা মার দ্বিতীয় কন্যা সন্তান এবং সর্বকনিষ্ঠ।ছোটবেলা থেকে যেখানেই গেছি সবার মুখেই একটা প্রশ্ন শুনে শুনে কানটা পচে গেছে প্রায়!''তোমার ভাই নাই?''।আর আমার আম্মুর আমার থেকেও বেশী শুনতে হয়েছে নিঃসন্দেহে।''ছেলে নেই!'' আবার দেখো একটা ছেলে হয় কিনা!প্রকৃতপক্ষে, আমার আম্মু বা আব্বু কে কখনই এই নিয়ে কোন আফসোস করতে বা কষ্ট পেতে দেখিনি।বরং আমার ধারনা আশেপাশের মানুষরাই বেশি চিন্তিত এই ব্যপারে।ছেলে হলে যেন তাদের চিন্তা দূর হয়।তারা আর এই দুঃচিন্তা নিতেই পারছেনা!বিষয়টা অনেক টা এমন যেন ছেলে হলে সেই বাবা মা সার্থক!সন্তানের মধ্যে কি আসলেই ভেদাভেদ সম্ভব?
ছোট থেকে একটা কথা অনেক শুনেছি।আমার জন্মের পর নাকি আমার বাবা আমকে দেখতেই যায় নি আবার মেয়ে হয়েছে বলে।কথা টা আমার বাবার কাছে জানতে চাইলে বিষয় তা সম্পর্কে আমার ভুল ধারণা ভাঙ্গে ।আমি অবাক হই একটা শিশু কে কষ্ট দিয়ে না জানি কি আনন্দ!আব্বু আম্মু তাদের ছেলে কে যেভাবে মানুষ করতো তার কোনো অংশ কম ভাবে আমদেরকে মানুষ করেছে বলে মনে হয় না।বরং আমাদের সবসময় শিক্ষা দেওয়া হয়েছে ভেদাভেদহীনতার। এখনো কেন আমাদের সমাজে ছেলে বংশের প্রদীপ, সে বংশের ধারা বজায় রাখবে এইসব কথা ভাবা হয় জানি না।
পরিচিত সহপাঠী, বান্ধবী অনেক কেই দেখেছি কলেজে ওঠার আগে বা পরেই বিয়ে দিয়ে দিতে।হয়ত সেই মেয়ে টা পড়া লেখা করে অনেক দূর যেতে পারত।কোথায় তারা তাদের ছেলে কে তো সেই বয়সে বিয়ে দিলো না।এই দোষ টা কাকে দিব?তাদেরকে নাকি সমাজ কে?
আমার বাবা মাকে এমন সুপরামর্শ যে কেউ দেয়নি তেমন না।বরং ভবিষ্যৎ এ ভালো ছেলে পাওয়া যাবেনা এমন কথা তাদের কে বার বার বলা হয়েছে আমাদেরই সামনে।আর তাদের স্পষ্ট জবাব বারবারই আমাকে মুগ্ধ করেছে।আর আল্লাহতালার দেওয়া সবচেয়ে ভালো উপহার বাবামাকেই মনে হয়েছে।আমার আব্বুকে সব সময় বলতে শুনেছি চাকরি পাওয়ার আগে বিয়ে না।সে যত ভালো ছেলেই হোক।আব্বু সব সময় আমদের আত্মনির্ভরশীল করতে চেয়েছে।পশ্চাৎপদ কোনো মানসিকতা তার মধ্যে দেখিনি।আমিও তাই সব সময় আব্বুকেই অনুসরণ করেছি।তার মতই হতে চেয়েছি।
আমার বড় বোন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে কুয়েট থেকে।এক আন্টি একবার আমার সামনে আম্মুকে বলল তোমার মেয়ে যে ইঞ্জিনিয়ার হয়ে অনেক বড় কিছু হবে তা কি তুমি নিশ্চিত?তার থেকে ভালো ছেলে পেলে বিয়ে দিয়ে দাও।উল্লেখ্য, আন্টির ছেলেও ইঞ্জিনিয়ার। তিনি তার ছেলের ক্ষেত্রে কেন একই ধারণার পোষণ করলেন না?খুব শুনতে ইচ্ছা হচ্ছিল।কিন্তুু সেইটা জানতে চাইলে যে আমার গায়ে বেয়াদব এর তকমা যুক্ত হওয়া ছাড়া কিছুই হবে না তা আমার জানা ছিল।
আমাকে আমার আপু কে অনেক বার এই কথা টা শুনতে হয়েছে তোমার খারাপ লাগে না ভাই নাই বলে?!ভাই নাই তাতে খারাপ লাগার কি হলো আমি সেইটাই বুঝিনা।না আমার ভাই নেই।আর আমার এইটা নিয়ে কোনদিন খারাপ লাগা কাজ করেনি উলটো আমার উপলব্ধি সহোদর হিসেবে ভাই না বোনই শ্রেষ্ঠ।
বাসা ছেড়ে ঢাকা এসেছি পড়তে।এখানেও তাদের সমস্যা! একা মেয়েকে ঢাকার মত একটা জায়গায় পাঠানো টা কি ঠিক?! আম্মু আব্বু কখনো তার মেয়ে যাবে নাকি ছেলে এইগুলা ভাবেইনি।তারা আমাকে সম্পূর্ণ সুযোগ দিয়েছে যেন আমি আমার স্বপ্নকে পুরন করতে পারি।তাই আমিও কখনও অন্যের কথা শুনে নিজের স্বপ্নকে ভুলে যাইনি।
আমি গর্বিত এমন বাবা মা পেয়ে।যারা সন্তানকে সন্তান হিসেবেই দেখেছে ছেলে বা মেয়ে হিসেবে না। আর বাবা মাকে গর্বিত করতে যে ছেলে হয়ে জন্মাতে হয় না সেইটাও সবার জানা উচিত।দরকার শুধু ভালো মানুষ হওয়া।একটা শিশু যখন জন্মায় তখন সে বংশের প্রদীপ হচ্ছে নাকি এইটা সে জেনে আসে না।তাকে জানাই আমরাই। তাকে ইনফেরিওর বা সুপিরিওর এর অনুভুতিও আমরাই দিই।এই ধারণা তাকে কখনো না দিয়ে তার পরিবর্তে সে যে তার বাবা মার সমাজের দেশের অমূল্য সম্পদ এই ধারণা টা দিলে হয়ত মন্দ হবে না।তাহলে হয়ত আর কোনো ট্যালেন্টড মেয়েকে ইন্সপিরেশন আর কনফিডেন্সের অভাবে হারাতে হবে না।
জান্নাতুল কানন এশা
অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
#P2Pchallenge #ThinkSpeakChange
#ChangeisYou #Rise2change #MoveOn
#ChallengingExtremism #NohateKnowLove
মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৭
শীতের আগমন
উঠলো রবি হেসে হেসে,
হেমন্ত আসলো দেশে।
শিশির ভেজা সকাল আকা,
রোদের হাসি আদর মাখা।
মাঠে আছে পাকা ধান,
ভরে যায় আমার প্রান।
থাকবো সবাই হাসি মুখে,
সবুজ শ্যমল দেশের বুকে।
শাক সবজিতে যাবে ভরে,
শিত আসবে উত্তর পুরে।
কুয়াশার চাদর আকা,
শিতটা থাকে আদর মাখা।
রবিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৭
প্রেমিকার ভালোবাসা পরীক্ষা করতে এ কি করলেন প্রেমিক
প্রকাশঃ মার্চ ২৩, ২০১৭
বিডিমর্নিং ডেস্ক-
অডবল এলেক্সি বাইকভ নামের ৩০ বছর বয়স্ক এক রাশিয়ান যুবক ভালোবাসার মানুষটির সত্যিকার ভালোবাসা পরীক্ষা করতে নিয়েছিলেন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। বিশ্বাস করুন আর নাই করুন তিনি তার ভালোবাসার পরীক্ষা নিতে সম্পূর্ণ একটি দুর্ঘটনার নাটক সাজিয়েছিলেন, যা বাস্তবায়ন করতে ম্যাকাপ ম্যান থেকে শুরু করে স্ত্রিপ্ট রাইটার, ছবি পরিচালকও ভাড়া করেছিলেন!
এলেক্সি এমন ভাবে তার মৃত্যুর নাটক সাজান যাতে তার বান্ধবী এসে দেখেন তিনি দুর্ঘটনায় মৃত! তিনি কেবল দেখতে চেয়েছিলেন তার প্রান প্রিয় বান্ধবী ইরিনা তার মৃত্যু দেখে কি প্রতিক্রিয়া দেখায়!
সত্যিকারের ভালোবাসার ৫ পরীক্ষা
এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ভালোবাসা মনের কোণে সব সময় ঢেউ খেলে। ভালোবাসার জন্য সত্যিই সবকিছু করা সম্ভব। কারণ যিনি আপনাকে সত্যি সত্যি ভালোবাসবে তিনি আপনার জন্য অনেক কিছুই করে ফেলতে পারবেন। কিন্তু আজাকাল ভালোবাসা ঠুনকো হয়ে গেছে৷ এরপরও সত্যিকারের ভালোবাসা যাদের মনে তারা সবকিছু ত্যাগ করতে পারেন।
যদি কাউকে সত্যি ভালোবাসতে চান এবং সত্যিকারের ভালোবাসার মানুষ পেতে চান তাহলে সেই মানুষটির পরীক্ষা নেয়া কিন্তু জরুরি। কথাটি হয়তো অনেক বেশি ছেলেমানুষি শোনাবে। কিন্তু এরপরও বলব ভালোবাসুন, মূলত সত্যিকারের ভালোবাসায় বাঁধুন তাকেই যিনি এই ৫টি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারে।
১) জ্ঞানের পরীক্ষা
এটি পড়ালেখা বিষয়ক কোনো পরীক্ষা নয়। আপনার সঙ্গী ভালোবাসা জানেন কি না তা একটু বুঝে নিন। তিনি কি জানেন, ভালোবাসার মূল ভিত্তি কি? তিনি কি জানেন ভালোবাসার মূল অর্থ? যিনি সত্যিকারের ভালোবাসা কি তা জানেন, তিনিই সত্যিকারের ভালোবাসতে জানেন।
২) আত্মত্যাগের পরীক্ষা
আপনার জন্য আসলেই কতটা ছাড় দিতে পারেন দেখুন তো। ছাড় দুপক্ষকেই দিতে হয় তা সবাই জানে। কিন্তু তার ভালোবাসার গভীরতা কতখানি তা দেখার জন্য আপনি না হয় তার আত্মত্যাগের একটি পরীক্ষাই নিয়ে নিন। তিনি আপনার জন্য কি ছেড়ে দিতে পারেন বুঝে নিন। কারণ মুখে বড় বড় কথা বললেও বাস্তবে মিল থাকে না।
৩) ক্ষমা করার পরীক্ষা
যিনি ভালোবাসতে জানেন তিনি তার ভালোবাসার মানুষটিকে ক্ষমা করে দিতেও জানেন। কারণ মানুষ মাত্রই ভুল করে। যদি আপনাকে সে সত্যি সত্যি ভালোবাসে তাহলে সে নিশ্চয় আপনাকে ক্ষমা করে দেবে৷।
একজন প্রেমিক/প্রেমিকা হিসেবে নয় আপনি দেখুন আপনার ভালোবাসার মানুষটি কতটা সম্মান করতে পারেন। তিনি আসলে কোন ধরনের মানসিকতার মানুষ।
৪) ধৈর্য পরীক্ষা
যে যতই শান্ত হোক না কেন প্রতিটা মানুষেরই ধৈর্য্যের সীমা রয়েছে। ধৈর্য কিন্তু মানুষের অনেক বড় একটি গুণ। ধৈর্য দিয়েই বিবেচনা করা যায় মানুষটির ভবিষ্যৎ আচার আচরণ৷ তাই সঙ্গীর এই পরীক্ষাটিও নিয়ে নিন।
৫) মানসিকতার পরীক্ষা
আপনি কি আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে যেকোনো প্রয়োজনে পাশে পেয়ে যান? আপনার সব মানসিক বিষয় না হলেও কিছু বিষয় তিনি না বলতেই বুঝে যান? তাহলে কিন্তু তিনি এরই মধ্যে তার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছেন। দুজনের মানসিকতার মিল ভালোবাসার সম্পর্কের জন্য অত্যন্ত জরুরি তা ভুলবেন না কিন্তু একেবারেই।
এ
শনিবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৭
শান্তির জন্য ভালবাসুন!
শান্তিতে থাকার কিছু সার্বজনীন উপায় আছে, তা মেনে চলতেই হয়।
হৃদয়ের ভেতরটা ফাঁকা করতে পারেন? যেমন ধরুন, কারো খারাপ ব্যবহার, অন্যায়গুলোতে আহত হয়ে না থাকা? অথবা ধরুন, নিজের ব্যর্থতা, অসুস্থতা, অসহায়ত্বে ভারাক্রান্ত হয়ে আছেন?
নিজেকে ক্ষমা করতে পারেন না? নিজেকে মুক্তি দিন। ছাড় দিন। সমস্ত প্রত্যাশা থেকে নিজেকে দয়া করে ছাড় দিন। গ্রহণ করেই নিন যা হয়েছে। চেয়ে দেখুন, পৃথিবীটা অনেক বড়, লক্ষ-কোটি মানুষ এতে। আপনার মতই সবারই অনেক অপূর্ণতা-যন্ত্রণা-কষ্ট-না পাওয়ার বেদনা। আপনি যা চাইছেন, তা পেয়েও অনেকে শান্তিতে নেই। আমি এত ভাবতেও হবে না, স্রেফ নিজেকে ছাড় দিন সমস্ত জিঞ্জির থেকে।
পারবেন না লোকের খারাপটা নিয়ে আলাপ না করে থাকতে? আপনার আত্নীয় যিনি, তার ক্ষুদ্রতা নিয়ে সমালোচনা না করে থাকতে পারবেন না? মানুষ তো আপনার পছন্দের হতে পারবে না। পছন্দ-অপছন্দ আপনার মনের ব্যাপার। আপনি যাকে অপছন্দ করেন, সে কিন্তু অনেকের পছন্দের ব্যক্তি হতেই পারে। আসলে, পছন্দ আপনি করছেন কারণ আপনি যা চিন্তা করেন, সেটা আপনারই তৈরি। আপনার ভালোলাগার কারণ আপনিই, আপনার অনুভূতির মূল প্রকৌশলি আপনি নিজেই।
ভালোবাসতে পারবেন না এখন সবকিছুকে? তুচ্ছ মানুষগুলোকে ভালোবাসুন। আপনি যখন ভালোবাসতে পারবেন, তখন বুকের ভেতরে বসন্তবাতাস অনুভব করতে পারবেন। ভালোবাসতে পারার মাঝে আছে শান্তি। কিন্তু যতক্ষণ আপনি অন্যদের প্রতি ঘৃণা করা থেকে, নিজেকে তাদের চেয়ে উচ্চমানের মানুষ মনে করা থেকে, খুঁতখুঁতানি স্বভাবে অশান্তিতে থাকা থেকে বাঁচতে না পারবেন-- আপনি ততক্ষণ পর্যন্ত ভালোবাসতে পারবেন না।
যে ভালোবাসতে পারে না, সে বেদনাক্লিষ্ট ও দুর্বল মানুষ। ভালোবাসুন, দয়া করুন। উপেক্ষা করুন নেতিবাচকতাগুলোকে। কারো খুঁত আর ভুল খুঁজতে চাইলে ভালোবাসা যায় না। মানুষ ভুলে ভরা প্রাণী, অন্যায় আর অপরাধে ডুবে থাকা প্রাণী। তাকে ভালোবাসতে পারার মূল কারণটা আপনার হৃদয়। কাউকে ভালোবাসার কৃতিত্ব কেবলই আপনার।
হৃদয়কে মুক্ত করুন সমস্ত জিঞ্জির থেকে, সমস্ত অশান্তি ও অতৃপ্তির জাল থেকে, সমস্ত ঘৃণার কাঁটাতারের বেড়ায় আটকে থাকার অসহায়ত্ব থেকে। হৃদয়কে শান্তি দিন, নিজেকে ক্ষমা করুন, নিজের নেতিবাচক, ঘৃণাবাচক, অশান্তিময় চিন্তাগুলোকে উপেক্ষা করুন। চেষ্টা করুন নিজ ভালোবাসাটা চারপাশে ছড়িয়ে দেয়ার। কারণে ভালোবাসুন, অকারণে ভালোবাসুন। যখন আপনি ভালোবাসতে পারবেন-- ভালোলাগায় আপনার চোখ ভিজেও আসতে পারে! হৃদয়ে শান্তির পরশ পেতে, বুকে বসন্ত বাতাসের স্পর্শ পেতে সমস্ত ভার ফেলে দিয়ে, ঘৃণা ফেলে দিয়ে, ভালোবাসুন।
ভালোবাসার মাঝেই রয়েছে জীবনের এক গভীরতম দর্শন।
শুক্রবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৭
একটি ফারাবীর গল্প
ছেলে→ আই লাভ ইউ তমা..
মেয়ে→থাপ্পড় চিনেন?
ছেলে→চিনি তো,,
মেয়ে→ খাবেন?
ছেলে→ কে দিবে?
মেয়ে→আমি দিবো,,
ছেলে→দেড়ি করছো কেনো এখনি দাও,,
মেয়ে→লজ্জা করেনা আপনার?
ছেলে→ আমি তো প্যন্ট পরছি
মেয়ে→আপনাকে যে কি করি
ছেলে→ বিয়ে করো
মেয়ে→আসলে একটা থাপ্পড় দেয়া উচিৎ আপনাকে..
ছেলে→ চাইলে কিস ও করতে পারো না করবোনা,,
মেয়ে→সামনে থেকে সরুন
ছেলে→পিছনে পিছনে আসবো নাকি?
মেয়ে→ কি করেন আপনি?
ছেলে→পড়াশোনা করি,,
মেয়ে→আপনার বাবা কি করেন?
ছেলে→বাবা নেই,
মেয়ে→মারা গেছেন?
ছেলে→ না আসলে আমি জানিনা,
মেয়ে→আপনার মা কি করেন?
ছেলে→আমার জন্মের সময় মারা গেছেন,,
মেয়ে→থাকেন কোথায়?
ছেলে→বস্তিতে,,
মেয়ে→ওখানে থাকেন কেনো?
ছেলে→এক ভিখুকের সাথে এখন ওনি আমার মা,,
মেয়ে→ ফকিন্নির বাচ্চা তোর সাহস তো কমনা,,
ছেলে→আপনাকে ভালবাসতে পারবো না কেনো?
মেয়ে→একজন ভিখারির বাচ্চাকে বয়ফ্রেন্ড কি করে বানাই?
ছেলে→আর কোন দিন তোমার সামনে আসবোনা,,,
আমি আর কিছু বললাম না চুপ করে নিরবে চলে আসলাম। ভালবাসা জোর করে হয়না আর আমি যেহুতু ভিখারির ছেলে। আমার জন্য এইসব ভাবাও পাপ,,
আমি ফারাবী হাবিব ডাক নাম ফারাবী এক বস্তিতে থাকি,, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিজিক্স করছি।
আমার বাবা কে তা জানিনা মা জন্মের সময় মারা গেছেন। তাই মায়ের মুখ দেখিনি।
বড় হয়েছি এক ভিখারির কাছে তাই তিনিই এখন আমার মা।
কিছুটা বুঝতে শিখেছি তাই টোকাই দলে নাম লিখিয়েছি। সারাদিন টোকাই করে যা পেতাম তাতেই আমার দিন চলে যেতো।
একদিন পাশের মহল্লার কিছু টোকাই ছেলে আমাকে মেরেছিলো।
তাই আমার মা আমাকে আর টোকাই গিরি করতে দেননি। কিছু দিন পর একটা স্কুল এ পড়তে পাঠালেন। আর তিনি সারাদিন রাস্তাঘাটে মানুষের কাছ থেকে টাকা জোগার করে সংসার চালান।
প্রাইমারী পাস করার পর আসি হাইস্কুল এ বেশ মেধাবী ছিলাম। সব সময় ক্লাসে ফাস্ট হতাম পাশাপাশি একটা প্লাস্টিক কারখানায় কাজ করতাম। যে টাকা বেতন দিতো কোন রকম পেট চলতো। পড়ালেখার টাকা মা ভিখুকের কাজ করে জোগার করতো,
খুব ভালো খাবার খেতে পারতাম না। নিন্ম মানের চালের ভাত আর কাচা মরিচের ঝাল পেয়াঁজ হলেই পেট ভরে খেতে পারতাম।
মাজে মাজে মা বড়লোকদের আধা খাওয়া বাঁশি পচা খাবার নিয়ে আসতেন।
আমার চোখ খাবারের লোভে চকচক করতো গপাগপ গিলতাম।
খাবের শেষে তৃপ্তিকর ঢেঁকুর সাথে মায়ের দিকে তাকাতাম দেখতাম মায়ের চোখে জল টলমল করছে,,
আমি তাকালেই মা চোখের জল আড়াল করে আচল দিয়ে মুছতো আর বলতো। বাজান চোকে মনে অয় সমেস্যা দেহা দিচে। খালি পানি পরে চোক দিয়া।
তোই কবে বড় অইবি বাজান? আমারে মেমসাব গো মতন একটা সসমা কিন্না দিবে কবে?
আমার গলা ধরে আসে। আমি তো জানি আমার মায়ের চোখের জলের উৎস।
আমাকে বড় হতে হবে অনেক বড়,,
প্লাস্টিক কারখানার চাকরি ছেরে দিলাম মালিকটা খালি প্যানপ্যান করে,, কিছু হলেই মায়েরে নিয়া বাজে কথা বলে,,,
কিছুদিন চুক্তি রিক্সা নিলাম জাবেদ চাচার কাছ থেকে।
স্কুলের সময় স্কুলে যেতাম বাকী সময় রিক্সা চালাতাম।
একদিন এক বড়লোক ছেলে আর তার গ্যলফ্রেন্ড নিয়া গ্রিনরোড থেকে রবিন্দ্র সরোবর যাইতেছিলাম, রিক্সায় বসে বসে তারা আজ কত টাকার শপিং এবং খাওয়া দাওয়া করলো। সব কিছুর হিসেব করছে।
মনে মনে বেশ খুসি হলাম বাড়ার পাশাপাশি চাইলে কিছু বকখশিও পেতে পারি আজ। রবিন্দ্র সরোবর বললাম স্যার নামেন ওনারা নামলেন।
ছেলেটি একটা দশ টাকার নোট ধরিয়ে দিলো আমি বললাম স্যার হয়নাতো আর দশটা টাকা দেননা স্যার।
লোকটা আমার কলারে ধরে বললো চুপচাপ চলে যা ছোটলোক কোথাকার।
মেয়েটি বললো কি দরকার বাবু? এইসব ছোট লোকদের গায়ে হাত তুললে তোমার হাত নোংরা হবে। এই লোকের গায়ে জিবাণু থাকে,, চুপ করে নিরবে চলে আসলাম, গরিবের জন্ম ই তো মার খাবার জন্য। চোখের জল মুছে চলে আসলাম।
জাবেদ চাচার গ্যারেজে রিক্সা জমা দিয়ে আমাদের বস্তির খুপরিতে ডুকলাম। মা বাতাস দিতে লাগলো আমি মুড়ি খেয়ে পড়তে বসলাম।
সামনে আমার এস এস সি অনেক কস্টে আমি আর মা ফরম ফিলাপের টাকা জোগার করেছি।
আমি পরছি মা বাতাস করছে মাঝে মাঝে মায়ের চোখের দিকে তাকাই। মায়ের চোখে রাজ্যের সপ্ন ভাসে। যে সপ্নে ভিবোর হয়ে সারাদিনের কস্ট ভূলে যায় আমার মা। আর আমি মায়ের সপ্নভরা চোখের দিকে তাকিয়ে অদ্যম হয়ে উঠি আরো ঝোরে পড়তে থাকি।
এস এস সি এইচ এস সি দিলাম দুইটা তেই গোল্ডেন প্লাস পেয়েছিলাম পেপারে ছবি ও দিয়েছিলো। সাংবাদিক যখন এসেছিলো ছবি নিতে। গত রমজানে এক সাহেবের জাকাতের দেয়া শার্টটা পড়েছিলাম, আহা কি সুবাস লাগছিলো নতুনের ছুয়া। খুব সুন্দর একটা ছবি উঠেছিলো হয়তো নতুন শার্ট নয়তো দামী ক্যামরা।
আমার মাকে এস এস সির রেজাল্ট এর পর বলেছিলাম। মা আমি গোল্ডেন প্লাস পাইছি।
তখন আমার মা বলেছিলো কিরুম্মা পিলাচ বাজান?
ঐযে কারেনের কাম করে?
কত বেচন যাইবো পিলাচটা?
বেচতে পারলে এক কেজি চাইল কিনিচ বাজান।
আজকে ঘরে চাইল নাই। তই বাজান নকত বেচন যাইবোনি বাজান?
আমি কিছু বলিনি সেদিন কান্না চেপে ধরে রেখেছিলাম।
মা চলে যাবার পর চিৎকার করে কেঁদেছিলাম,,
ফুলবানু খালা উকি মেরে দেখছিলো আমায়। ভাবছিলো হয়তো বড় পাস দিছি তাই আনন্দে কাঁদছি।
একদিন আমি রিক্সার উপর বসে গামছা দিয়ে গাম মুছছি। এমন সময় দেখছি আমার মা কোন এক সাহেবের গাড়ির জানালার সামনে দাড়িয়ে অনুরুধ করছে। ছার ও ছার আমার পোলারে ভারসিটিতে ভত্তি করামু কয়টা টেহা দিয়া সাহায্য করেন না ছার আল্লাহ্ আপনের ভালা করবো। সাহেব কি বললো তা আমি শুনিনী। তবে মাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছিলো। আমার মায়ের হাত ভেঙে গিয়েছিলো নিস্টুর কালো পিচঢালায় পরে।
বেথায় কঁকিয়ে উঠছিলো আমি দৌড়িয়ে গিয়ে মাকে কোলে করে বস্তিতে নিয়ে আছিলাম।
আমার মা বেথায় নয় লজ্জায় মুখ লুকাতে চেয়েছিলো,, কারন আমার সামনে তিনি ধাক্কা খেয়েছিলেন।
ডাক্তারের কাছে নিতে পারিনি টাকা ছিলোনা। ফুলবানু খালায় প্রতিদিন তেল গরম করে মায়ের হাতে মালিশ করে দিতো দিতো। যদিও মায়ের হাতটা এখনো সোজা হয়নি তবে দিরে দিরে বেথা কমে গিয়েছিলো।
আমি মাকে একটা টং দোকান ভাড়া করে দিয়েছি। সেখানে মা পান সিগারট বিক্রি করে।
আমি ঢাকা ভারসিটিতে এডমিট হয়েছি আমার অনেক ফ্রেন্ডস। একদিন স্যার বললো ফারাবী তোমার নিজের লাইফের কথা বলো শুনি।
সেদিন সব বলেছিলাম বলার পর আমার আর কোন ফ্রেন্ডস নেই। তারা আমাকে ছেরে দিয়েছে কেমন করে জানি কথা বলে।
একদিন তো সোয়ান আবিরকে বলেছে দেখ আবির ফারাবী ফক্কির পোলাকে পাত্তা দিবিনা।
তারা হয়তো ভেবেছিলো আমিও কোন বড়লোক ক্রিমিনালের জাত কিন্ত না আমি তো ফক্কির সন্তান।
হঠাৎ পিয়নের ডাকে বাস্তবে ফিরে এলাম। এতখন অথিতে ডুবে ছিলাম। আমি এখন ম্যাজিস্ট্রেট।
সেদিনকার বড়লোক সোয়ান আবরদের স্যার হ্যা ওরা আমাকে এখন স্যার বলে ডাকতে হয়।
টাকা পয়সা ধন সম্পদ মান সম্মান সব আছে।
আরো আছে আমার জান্নাত আমার ভিখারী মা।
না তিনি এখন ভিখারী নন তিনি এখন ম্যাজিস্ট্রেট এর মা।
সেদিন পেপারে বিজ্ঞাপন দিলাম পাএি চাই।
শিরোনামে ঠিকানা দিয়ে দিলাম। কোন এক মেয়ের বাবা পরের দিন বাসায় এসে হাজির। আমি আমার মা এবং বাসার সব কিছু পছন্দ হলো উনার। উনার বাসার ঠিকানা দিলেন। কোনো একদিন আমি রিক্সা চালাতাম আমার মা রিক্সায় বসে থাকতো।
আজ আমি নিজের গাড়ি চালাই মা আমার পাশে বসে আছেন। মেয়ের বাসার সামনে গাড়ি রাখলাম।
বাসার বিতর ডুকলাম বেস সাদর জানালো। মেয়ের মা নাস্তা দিলেন আমাদের কে।
কিছুখন পর মেয়ে আসলো লম্বা গুমটা দিয়া। দুইটা মেয়ে দুপাশে ধরে নিয়েছে।
আমার মা বললেন ঘোমটা সরাতে।
আমি মেয়ের দিকে তাকিয়ে চমকে উঠলাম।
এটা তো তমা *
যার পিছনে আমি কলেজ জিবনে গুরতাম। তমা আমার দিকে তাকিয়ে হাসি দিলো। সেকি আমাকে চিনতে পেরেয়েছে?
চিনার কথা নয় সেদিনকার কালো চিকুন ফিরাবী আজ অনেক স্মার্ট।
আমি বললাম মেয়র সাথে একটু কথা বলবো সবাই রাজি হলো। আমি আর তমা ছাদে গেলাম।
আমি কয়একটা কাঁশি দিলাম।
তমা→ পানি খাবেন?
আমি→নাহ্
তমা→কেমন আছেন?
আমি →তুমি কেমন আছো তমা?
তমা→আপনি আমার নাম জানলেন কেমন করেরে?
আমি→ নাহ্ এমনি, আমাকে তোমার পছন্দ হয়েছে?
তমা→জ্বী
আমি→আমার পরিচয় জানো?
তমা→আপনি একজন ম্যাজিস্ট্রেট এতটুকু জানি।
আমি→নাহ্ এর বাহিরে ও একটা পরিচয় আছে।
তমা→সেটা কি বলুন
আমি→আমি ফারাবী কোন এক ভিখারির সন্তান তোমার পিছনে ঘুরতাম চিনতে পরেছো?
তমা→আপনি? আপনি এত বড় হলেন কেমন করে?
আমি রহস্যময় হাঁসি দিলাম সে হাঁসির মানে এক একজনের কাছে এক একরকম। তমার চেহারায় অবিশ্বাসের ছাপ দেখতে পেলাম,,
আমি পিছন হয়ে দাড়িয়ে আছি আকাশ প্রাণে তাকিয়ে কত গুলো পাখী উরছে দেখতে ভালো লাগছিলো। তমার দিকে তাকাতে পারছিনা।
তমা আমার দিকে অভাক চোখে চেয়ে আছে।
হঠাৎ কোথায় থেকে যেনো একটা গান বেজে উঠলো। একুল ভেঙে অকুল গরে এইতো নদির খেলা। সকাল বেলার ধনীরে তোই ফকির সন্দা বেলা
## লাইফ টা এরকমই...